Wednesday, April 29, 2009

আজকের দিনটায় কি হবে বলে দিই

আজকের দিনটায় কি হবে আমি বলে দিই। আজ কোন হাতি ঘোড়া মরবে না ঢাকার রাস্তায়। আজকেও সূর্যের লজ্জা ঘুচবে না। ঢাকার রাস্তায় আজকেও জ্যাম ফেলে মন্ত্রীদের গাড়ি চবে পি্পপিপ হর্ন বাজিয়ে। আজকে তোমার সাথে আমার দেখা হবে না। আজকে আমার ঘুব ঘুমাতে ইচ্ছা হবে অসময়ে। আজকে আমার ইচ্ছে করবে খুব আমার কাজগুলো অন্য কেউ করে দিক। আজকের দিনটা বড়ই আজকের মত থাকবে। আজ আমি ছাতা খুলতে ভুলে যাব। আজ আমি বাস স্টপে গিয়ে তাড়াতাড়ি বাস পেয়ে যাব। আমার বাস আজকেও জ্যামে আটকা পড়ে থাকবে ্ধানমন্ডিতে। না আজকের দিনটায় আমি একটু বদলাবো না কি গতকালের থেকে? আমার তো একটু বদল দরকার ছিল। আর আমার বয়সটাও একদিন বাড়বে ৈকি আজকের দিনটার পরে।

Tuesday, April 21, 2009

ইচ্ছে হলো তাই...

ছেলেমানুষী শখ আমার কখনও যাবে না। কারও ছেলেমানুষী কোন শখের কথা শুনলে আমার খুব ইচ্ছে করে তার শখটা পূরণ করে দিতে। হয়তো এজন্য যে আমার ভেতর বরাবর একটা ছেলেমানুষ বাস করে। ছেলেবেলায় যত শখ ছিল সেগুলো বেশিরভাগই আজো আমি চাইলেই মনে করতে পারি। আর আমার সবচেয়ে ছোট ভাইটি এখন যে বয়সে সেই বয়সেই আমি সব কল্পনার ফানুস উড়াতাম দুহাত ভরে, তাই ওকে দেখে আমি আমাকে আঁকি। তারওপর আমার স্বপ্নগুলোরই রঙ চড়াই তার ওপর। হয়তো অন্য হাতে সব ফানুস ওড়ে না, আবার কোনটা ওড়ে, আমি তাকিয়ে থাকি, লুকিয়ে দেখি। তারপর আমার মুখে জীবনানন্দের হাসি ফোঁটে।

Thursday, April 16, 2009

কী লাভ ?

পাঁচ ফুট উচ্চতা নিয়ে মানুষ কত শত ফুট উচ্চতার বাড়ি গড়ছে।ইটের পর ইট দিয়ে কি বিশাল একেকটা ভবন সে বানাচ্ছে। এই অসাধ্য কাজ সে আজ কি অনায়াসে সম্ভব করে ফেলতে পারছে। কোত্থেকে শুরু করে আজ সে কত প্রযুক্তিই না আয়ত্ত্ব করেছে। আমি যে বাসে করে এই মুহুর্তে ভীষণ বেগে ছুটে চলেছি সেটাও চিন্তা করে দেখলে কি অসম্ভব একটা ব্যাপার! কিন্তু জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছুটন্ত সবকিছুর ভেতর যখন রাস্তার পাশে ছিন্নমূল মানুষগুলোর দিকে দৃষ্টি গেল মনে এল অট্টালিকা না হোক যেনতেন একটা ছাদের নীচে এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়া কি তুলনায় নিতান্তই একটা অনায়াস কাজ ছিল না? কী লাভ হল তাহলে?

Wednesday, April 15, 2009

একদিন আমার ঘরে একটা জোনাকী পোকা ঢুকেছিল

তখন আমরা একটা কলোনীতে থাকতাম। সেই কলোনীটা ভর্তি ছিল অনেক গাছপালাতে, সেখানে রাতে ঝিঁঝিঁ পোকাও ডাকতো, ঠিক গ্রামের মত। তবে জোনাকী পোকা সেখানে কখনও দেখিনি। তাই ঘরে জোনাকী পোকা ঢুকে যাওয়াটা ঠিক দৈনন্দিন ঘটনা ছিলনা। কেবল একবারই আমার ঘরে একটা জোনাকী পোকা ঢুকেছিল। যখন সেটা আমার ঘরে ঢুকেছিল আমি তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। জোনাকী পোকাটা কোত্থেকে যেন কি মনে করে, হয়তো পথ ভুলে আমার ঘরে ঢুকেছিল। তারপর আমার ঘুম কি করে ভাঙ্গলো আমার মনে পরেনা। হয়তো সেই জোনাকী পোকাটার আলো আমার ঘুম ভাঙিয়ে ছিল। চোখ খুলে সাথে সাথেই মনে হয় ওটার উপস্থিতি টের পাইনি আমি। হয়ত হঠাৎ করে খেয়াল করেছি মশারীর উপর কিছু একটা যেন জ্বলছে। প্রথম অনুভূতিটা ছিল ভয়ের। মনে হয়েছিল একটা জ্বলন্ত শয়তান বুঝি ঢুকেছে আমার ঘরে। কিছুক্ষন পরে মনে হয়েছিল ওটা হয়তো একটা জোনাকী পোকা। সেই জোনাকী পোকাটা ছিল অনেকদিন বিরতির পর দেখা একটা জোনাকী পোকা। প্রবল বিস্মিত হয়েছিলাম। ঘটনাটা যদি গ্রামের বাড়িতে ঘটত, যদি গ্রামের টিনের চালার একটা ঘরে ঘুম ভেঙে চোখ মেলে জোনাকী পোকাটাকে দেখতে পেতাম,তাহলে হয়ত খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হত। কিন্তু ইট কাঠের দালানের ভেতর এই ঢাকা শহরে ঘরের ভেতর ঘুমঘোরে জোনাকী পোকা দেখতে পাওয়া খুবই অবাস্তব একটা ঘটনা। তাই আলোটাকে জোনাকী পোকা ভেবেই খুব স্বস্তিতে ছিলামনা, বরং চেতন এবং অবচেতন মনে ভয়ের রেশটাই প্রবল ছিল। আলোটাকে অতিপ্রাকৃত কিছু ভাবতে মনের একটা অংশ সায় দিচ্ছিল। আর কোণঠাসা যুক্তিবাদী অংশটা ক্ষীণসুরে বলছিল ওটা একটা নিরীহ জোনাকী পোকাই হবে। জোনাকী পোকাটা (যদি সেটা জোনাকী পোকাই হয়ে থাকে) একটু পর মশারীর উপর থেকে উড়ে চলে গিয়েছিল। তবে সেটা ঘরের ভেতরেই ছিল, অন্তত আমি ঘুমিয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত। এরপর মনে মনেও সে দ্বন্দের আর সমাধান মেলেনি, হয়ত সমাধান চাইনি বলেই।