Tuesday, May 26, 2009

বল বিভ্রাট

ইদানীং আমি খুব টেবিল টেনিস খেলছি। শুধু আমি না, আমার চারপাশে অনেকেই খেলছে। ঘটনা হচ্ছে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ইনডোর গেমস টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে শিগগিরি। তাই ঝালিয়ে নেয়া আর কি, যদিও লাউ শেষমেষ কদুই। চারপাশে টিটি খেলার এই মহড়া দেখে আমার একটা ঘটনা মনে পরে গেল। ফাঁকতালে সেটাই লিখে রাখি এখানে। ঘটনা বেশি আগের না। বছরখানিক আগের হবে। তখন টিটি বল কিনতে যেতে হতো মেডিকেলে। ওখানে একটা দোকান ছিল যেখানে বেশ চড়া দামে ওগুলো বিক্রী হতো। এখন অবশ্য অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ডিপার্টমেন্টের ভেতর আলাউদ্দিন ভাইয়ের কাছে থেকে এখন বল কেনা যায়। যাই হোক এখনকার স্বর্নযুগ না তখনকার কাদামাটির যুগের ঘটনা এটা। একদিন আমি সিড়ি দিয়ে নামবো বলে এগুচ্ছি হন্তদন্ত হয়ে। হঠাৎ টিটি বোর্ডের কাছ থেকে একটা জুনিয়র ছেলে আমার দিকে ছুটে এলো। আমি অবশ্য গতি কমাইনি। সিড়ি দিয়ে কয়েক কদম নেমেও গিয়েছি। ছেলেটা, সম্ভবত ডিপার্টমেন্টে একদম নতুন, বেশ ব্যগ্র হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ভাইয়া বল ফেটে গেছে, কি করবো...। আমার তাড়া ছিল তাই তাত্তাড়ি জবাব দিলাম, মেডিকেলে যাও! 

Thursday, May 14, 2009

...

বিক্ষিপ্ত এবং অর্থহীন ভাবনায় আমি জীবনের সিকিভাগের কিছু কম ব্যয় করেছি বলে মনে করি। কাজেই এগুলো আমার ব্লগে তাদের উপস্থিতি  দাবী করেতেই পারে।

 

খুব রোদে আমার মাথায় জলীয় অংশগুলো বাষ্প হয়ে যায়। তখন আমার মাথার ভেতর মগজটা নাড়াচাড়া করে।

 

বাতাসে আমার ঘরের দরজা নড়ছে। এটাকে আমি ভূতের কারবার বলে চালাতে পারি এবং আগামীকাল থেকে ভূত দেখিনি কিন্তু ভূতের  ন্যাজ দেখেছি টাইপের গল্প ফেঁদে বসতে পারি।

 

এখন আমার পড়ার কথা। পড়ছিনা সম্ভবত এই কারণে যে আমি জিনিসগুলো বুঝে উঠতে পারবো এই ব্যাপারে খুব আত্মবিশ্বাসী নই।

 

বুদবুদ্গুলো অল্পতেই ফেটে যায় সম্ভবত এই কারণে যে সাবানটা খুব সস্তা মানের।

 

একদিন একজন লেখকের সাক্ষাতকার পড়লাম পত্রিকায়। জীবন নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন জীবন আসলে অর্থহীন, আমরা সেই অর্থহীন জীবনে নানা অর্থ আরোপের চেষ্টা করে যাই নিরন্তর। কথাটা আমার মাথার ভেতর ঢুকে গেল। তারপর সেই ভাবনাটা সহস্রদিকে ছুটে গেল।

 

আমার ছোটবেলায় আমি ছোটই ছিলাম।