Saturday, October 31, 2009

আয়না

মধ্যরাতে আয়নায় তাকিয়ে তোমার কখনও কি মনে হয়েছে যে সামনের মানুষটা তুমি নও? হঠাৎ চমকে উঠে দেখেছো কেউ একজন নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তোমাকে? তোমার শিরদাঁড়া বেয়ে বয়ে গেছে একটা ভয়ের স্রোত? আয়নায় নিজেকে দেখে আজকে এরকম ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম পাচ্ছিলো তাই চোখেমুখে পানির ঝাপ্টা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ নিজেকে আয়নাই দেখে প্রথমে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। তারপর আতঙ্কিত হলাম। আয়নাটা খুব স্পষ্ট হয়ে গেল যেন। আর মনে হল ওপাশে একটা পরিষ্কার জগৎ। আমার সামনে একটা রক্তমাংসের মানুষ। চোখে গভীর কৌতুহল আর কৌতুক নিয়ে তাকিয়ে আছে। ভয়, কৌতুক আবার আতঙ্কের একটা মিশ্র অনুভূতিতে মাথার ভেতরটা কেমন একটা ফুটো গ্যাস বেলুনের মতো হয়ে গেল। অদ্ভুত সময় এই মাঝরাত।

Wednesday, October 28, 2009

বিদায় জিওসিটিজ

জিওসিটিজ বন্ধ হয়ে গেছে এই ২৬ অক্টোবর। আর কারও কোনো অনুভূতি হয়েছে কিনা জানি না আমার কিছুটা কষ্টের অনুভূতি হয়েছে। অনেকদিন ধরেই শুনতে পাচ্ছিলাম বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আজকে ঢুকে যখন দেখলাম সত্যিই বন্ধ হয়ে গেছে তখন ছোট্ট একটা ধাক্কা খেয়েছি। অনেক অনেক স্মৃতি ছিল এই জিওসিটিজকে জড়িয়ে। এই জিওসিটিজেই প্রথম একটা ঠিকানা খুলেছিলাম নিজের। কত কী রেখেছিলাম সেখানে। শুরুতেই লিখেছিলাম আমার ছোট্ট ভুবনে স্বাগতম। বন্ধুদের দেখিয়ে কত ছেলেমানুষি ভাব যে নিতাম একটা সময়। আর একটা মেয়ে, যাকে অগুন্তি মেইল করেছি জীবনে তাকে সেই প্রথম যে মেইলটা করেছিলাম তাতে লিখেছিলাম -

My site: www.geocities.com/syeedibn.