Wednesday, January 15, 2020
Prisoner of Zenda
অনেক ছোটবেলার কথা, ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি। তখন আমরা জয়নুল আবেদীন হাউসে থাকি, আব্বা হাউস মাস্টার। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ তাই হোস্টেল ফাঁকা। পুরো হাউস তাই আমাদের খেলার জায়গা। একদিন কমন রুমের মেঝে তে দেখি একটা কমিক্স পরে আছে। হাতে নিয়ে দেখি Prisoner of Zenda। তখনও গল্পটা আমার পড়া হয়নি। সাথে সাথে গোগ্রাসে গিললাম কমিক্স টা। খুব খুব ভাল লেগেছিলো। সেই তখন থেকেই এই বইটা আমার প্রিয় বইএর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। লিখতে লিখতে মনে পরে গেল, একদিন বিকেলে খেলে টেলে এসে দেখি বিটিভির movie of the week এ এই বইটার থেকে বানানো একটা সিনেমা চলছে। কী আফসোস হয়েছিল ওটা মিস করার জন্য!
যাই হোক এর পর নিউ মার্কেটে গিয়ে এই সিরিজের অন্য কমিক্স গুলো খুঁজে দেখেছি, পাইনি। মনের কোণে কোথাও যত্ন করে রাখা ছিল এই কমিক্স টার কথা। কদিন আগে স্মৃতি ঘাটা এক দিনে অ্যামাজন থেকে কিনে ফেললাম কমিক্স টা। এরপর খুব অল্প অল্প করে পড়ছি...
Thursday, November 07, 2019
Formula
Stinky baby, sti-nky baby, what are they feeding you?
Stinky baby, sti-nky baby, it's not your fault!
Stinky baby, sti-nky baby, it's not your fault!
Wednesday, October 23, 2019
Monday, February 26, 2018
বিলম্বিত উপলব্ধি
কত অদ্ভুত কিছু মানুষের মনে থাকে আবার কত সহজ কিছু মানুষ ভুলে যায়। ছোটবেলার একটা স্মৃতি কোন কারনে এত গুলো দিন পরেও মাথায় গেঁথে আছে। তখন মনে হয় ক্লাস ওয়ান টু তে পড়ি। আমাদের বিল্ডিঙের নিচের তলায় থাকেন একটা আপুর বিয়ের কথা চলছে। তো একদিন আপুকে দেখতে বরসহ তার ফ্যামিলির লোকজন আসবেন। তো বর যখন সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন তখন আমরা কিছু বাচ্চাকাচ্চা এবং আপুর বন্ধুরা সবাই খুব উৎসুক হয়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছি বরকে দেখবো বলে। বরকে দেখতে পেয়েই তার বন্ধুরা পিপড়া পিপড়া বলে চিৎকার শুরু করলো। আমি কিছুই বুঝতে পেলাম না কেন পিপড়া বলে চিৎকার করা হচ্ছে। আমার মনে হলো হয়তো বরের হাইট খুবই কম তাই হয়তো তাকে পিপঁড়া বলা হচ্ছে। এটা মনে হয় বিশ বছর আগের ঘটনা। কদিন আগে যখন দেশে যাই তখন কথা প্রসঙ্গে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলাম মিমি আপুর কি খবর? আপুর নামটা উচ্চারণ করতেই হঠাৎ করে আমার উপলব্ধি হলো উনার বরকে কেন পিপড়া বলা হচ্ছিল! বিশ বছর পরে অবশেষে...
Sunday, September 24, 2017
শৈশব কড়া নাড়ে অদ্ভুত সময়ে
ছোটবেলায় রাকিবদের বাসায় দেয়াল ঘড়িটা মিনিটের কাটা বারোটা ছুলেই যখন আওয়াজ করতো আমি মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। ঢং ঢং .. ঢং ঢং ... ।কেন যেন আওয়াজ টা খুব মনে গেঁথে আছে । এতোটা যে শব্দটা শুনলেই আমার শৈশব মনে পরে যায়। বাসার জন্য ঘড়ি খুঁজতে গিয়ে টের পেলাম সেই আওয়াজ টা হলো Westminster chime । সুরটা আটপৌরে হয়ে গেলে কি এই অদ্ভুত যোগাযোগটা নিভে যাবে?
Sunday, May 01, 2016
হাইওয়ে
টিমটিমে হেডলাইটের আলো। সাদা দাগ পাশ দিয়ে এক শুধু খট খট। হাই বীম দিলে একটু তবু দূর দেখা যায়। এই বুঝি কোন হরিণ চলে আসে রাস্তায়। বাঁকের পরে বাক চলে যায়। হালকা আওয়াজে গান চলে রেডিওতে। ঘুম ঘুম লাগে। শেষের এক ঘন্টা। প্রায় চলে এসেও যেন শেষ হতে অনেকক্ষণ লেগে যায়। হোটেলের কথা মাথায় আসে। কেউ থাকবে তো লবিতে? থাকবে নিশ্চয়ই। দরজা বন্ধ হয়ে যাবে হয়তো। কাঁচের একটা দেয়ালের এপাশ ওপাশ কথা হবে। চাবি বুঝে পাবো। তারপর শান্তি। এখন এই নিকষ কালো টিমটিমে আঁধারে আরো একটি ঘন্টা ঘুমের সাথে যুদ্ধ। ক্লান্তিতে কানে গানের শব্দগুলো কোন মানে তৈরী করছেনা আর। হঠাৎ একটা গাড়ি উল্টোপথে গেলে অদ্ভুত ভালো লাগে। কে যায় কোথায় কে জানে। কিন্তু তবু রক্তমাংসের মানুষ কোন। অল্পকিছু ক্ষণ এসব এলোমেলো ভাবনায় কিছু সময় কাটে। এরপর আবার একই বৃত্তে ফিরে যাওয়া। সময় গতি আলো অপেক্ষা।
Thursday, July 23, 2015
Subscribe to:
Posts (Atom)