Thursday, April 16, 2009
কী লাভ ?
পাঁচ ফুট উচ্চতা নিয়ে মানুষ কত শত ফুট উচ্চতার বাড়ি গড়ছে।ইটের পর ইট দিয়ে কি বিশাল একেকটা ভবন সে বানাচ্ছে। এই অসাধ্য কাজ সে আজ কি অনায়াসে সম্ভব করে ফেলতে পারছে। কোত্থেকে শুরু করে আজ সে কত প্রযুক্তিই না আয়ত্ত্ব করেছে। আমি যে বাসে করে এই মুহুর্তে ভীষণ বেগে ছুটে চলেছি সেটাও চিন্তা করে দেখলে কি অসম্ভব একটা ব্যাপার! কিন্তু জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছুটন্ত সবকিছুর ভেতর যখন রাস্তার পাশে ছিন্নমূল মানুষগুলোর দিকে দৃষ্টি গেল মনে এল অট্টালিকা না হোক যেনতেন একটা ছাদের নীচে এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়া কি তুলনায় নিতান্তই একটা অনায়াস কাজ ছিল না? কী লাভ হল তাহলে?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
2 comments:
সহজ ছিলো। আবার সহজ ছিলো না।
সিয়ামের সাথে কথা হচ্ছিলো একদিন। ও সাত্রের নাকি মোপাসা কার জেন একটা গল্প শোনালো। এক ব্যাক্তি বাইরে গেছে বহুদিনের জন্য। যাবার আগে নিজের পোষা প্রানীটার দায়িত্ব দিয়ে গেছে এক বাচ্চা ছেলে কে। ছেলেটা ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায় সেই প্রাণী কে। প্রতিদিন মাঠে রেখে আসার সময় সে সেই ঘোড়া/গরু/ছাগলের দড়িটা একটু করে ছোটো করে দেয়। এতে প্রতিদিন অই প্রাণীর চরন ভুমির পরিমান কমতে থাকে। এক সময় দড়ি এত ছোটো হয়। সে প্রণীটা না খেয়ে মারা যায়।
সিয়ামের মত এখানে দেখানো হয়েছে। মানুষ সেই শিশুকাল থেকেই কতোটা নৃশংস হতে পারে। তার মানে শিক্ষা বা ‘নৈতিক শিক্ষা’ ছাড়া মানুষের ভালো বা খারাপ হওয়ার সম্ভবনা খারাপের দিকে বেশি।
এখন এই রাস্তার মানুষগুলোর জন্যে ভাববে তারাই যারা সেই শিক্ষাটা কোনো ভাবে পেয়েছে।
আমি অবশ্য মানব আত্মার পরিশুদ্ধিতে বিশ্বাসী। অর্থাৎ শিশুকালে মানুষ বরং একটু বেশী মায়াবিই/মায়াময়ই থাকে। বিভিন্ন ঘটনাই তাকে হিংস্র করে তোলে। করে তোলে লোভী। উচুতলার মানুষের সন্তানরাও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সেই উচুতলাটা তাদের ন্যায্য অধিকার মনে করে।
তাই আর ছিন্নমূলদের কথা ভাবা হয়না। আমাদের কিছু শুরু করতে হলে প্রথমে ঐ চেতনার দীপশিখা জ্বালাতে শুরু করতে হবে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী হলো একটা প্রজ্জলিত হৃদয়। প্রতিটা মানুষের মনন দীপ্তিময় করে তুলতে পারলে। আমাদের দেশের চেয়ে সম্পদশালী দেশ আর কে হতে পারে?
ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে আমাদের ভেতরের হৃদয়টাকে সেই পরিমাণ প্রশস্ত করতে পারিনি যেই পরিমাণ শানিত করতে পেরেছি আমাদের বাহ্যিক দক্ষতা। এটাই কি মানুষের অন্তরনিহিত বৈশিষ্ট্য? এটা বিশ্বাস করতে মন সায় দায় না। নৈতিকবোধটা গড়ে ওঠাই বুঝি মূল ব্যাপার।
Post a Comment