অনেকদিন আগে ছোটবেলায় বইটা পড়েছিলাম। ‘ছোটদের কাগজ’ নামে একটা পত্রিকা বের হতো সেসময়, সেটাতে প্রথম বের হয়েছিল গল্পটা। ‘ছোটদের কাগজ’ বের করতেন লুৎফুর রহমান রিটন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর সম্ভবত পত্রিকাটার প্রকাশনা থেমে যায়। ভালো লাগতো খুব পত্রিকাটা। সুন্দর ছাপা ছিল। পত্রিকাটার আকৃতিটাও ভালো লাগত। আসলেই ছোটদের কাগজ ছিল সেটা! ধ্রুব এষ প্রচ্ছদ,অলংকরণ করতেন। ঈদ সংখ্যাগুলো সবচেয়ে সুন্দর হতো। এই গল্পটা ছাপা হয়েছিল একটা ঈদ সংখ্যাতেই। খুব ভালো লেগেছিল তখন, ‘চাঁদের পাহাড়’ যেমন ভালো লেগেছিল। ইনকাদের জন্য মায়া লেগেছিল, ওরা সব কেমন করে হারিয়ে গেল। ছোটদের কাগজ নিয়ে একটা মজার ঘটনা মনে পরে গেল। একবার পত্রিকাটার একটা সংখ্যায় বলা হল পাখির ছবি এঁকে পাঠাতে। যার যার ছবি সুন্দর হবে তাদের ছবি পরের সংখ্যায় ছাপা হবে। আমি দুটো ছবি আঁকলাম, একটা এঁকে ভরসা পাচ্ছিলাম না। নিজের নামেতো আর দুটো পাঠাতে পারি না, একটা তাই পাঠালাম নিজের নামে আর একটাতে ছোটভাইটার নাম দিয়ে পাঠালাম। দুটোই ছিল কাকের ছবি। পেন্সিলে স্কেচ করে ছিলাম। তো আমার ছবি একটাও ছাপা হলোনা, কিন্তু যারা ছবি পাঠিয়েছে তাদের সবার নাম ছাপা হলো। ওখানে দেখি আমার নাম নেই কিন্তু আমার ভাইএর নাম ঠিকই আছে। ছবি না ছাপা হওয়ার সান্ত্বনাটুকুও আমার পাওয়া হলোনা। তবে আমার ছোটভাইটার ঠিকই চব্বিশ দাঁত বের হলো। ইনকা রাজার গুপ্তধন নিয়ে লিখতে বসে ছোটদের কাগজ নিয়ে লিখছি! ইনকা রাজার গুপ্তধন গল্পটা পরে বই আকারে বের হয়েছে। শেষ বইমেলার পর থেকে এখন বাসায় আছে বইটা। ছোটবেলাটা আমার খুব আনন্দের ছিল এই বইগুলো ছিল বলেই!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment